স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

নীতিগল্প: বাঘ ও পালিত কুকুর

এক মোটাসোটা কুকুরের সাথে এক ক্ষুধার্থ রোগা বাঘের দেখা হল।  প্রথম দেখাতেই বাঘ কুকুরকে বলল, ভাল ভাই! আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে। তুমি কেমন করে এমন সুন্দর স্বাস্থবান হলে। প্রতিদিন তুমি কি খাও এবং প্রতিদিন তোমাকে কেই বা খাবার দেয়। আমি সারাদিন খাবার খুজেও পেট ভরে খাবার খেতে পারি না।কোন কোন দিন না খেয়ে থাকতে হয়। এইভাবে খেয়ে না খেয়ে আমি দূর্বল হয়ে পড়েছি।

কুকুর বলল, আমি যা করি তুমি যদি তা কর তবে তুমিও আমার মতো খাবার পাবে। বাঘ বলল- তাই নাকি! আচ্ছা, কি সেটা ভাই! তোমায় কি করতে হয়, বল। কুকুর বলল, খুব বেশি কিছু না; রাতের বেলায় বাড়ীর মালিকের ঘর পাহারা দিতে হয়। বাঘ বলল, তাহলে আমিও এই কাজ করতে রাজি আছি। আমি সারাদিন বলে বলে ঘুরে, রোদ বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে খুব কষ্ট পাই। আমার এই কষ্ট আর সহ্য হয় না। যদি রোদ বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে থাকতে পাই এবং ক্ষুধার সময় পেট ভরে খাবার পাই, তাহলে বেঁচে যাই। কুকুর বলল, তাহলে তুমি আমার সঙ্গে আসো। আমি মালিককে বলে তোমার জন্য কিছু একটা বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি।


বাঘ কুকুরের সঙ্গে চলল। খানিক গিয়ে, বাঘ কুকুরের গায়ে একটি দাগ দেখতে পেল, এবং কিসের দাগ সেটা জানার জন্য কুকুরকে বলল, ভাই! তোমার ঘারে ওটা কিসের দাগ। কুকুর বলল, ও কিছু নয়। বাঘ বলল, না ভাই! বল বল, আমার জানতে খুব ইচ্ছা করছে। কুকুর বলল, আমি বলছি ও কিছু নয়; বোধ হয় গলাবন্ধের দাগ। বাঘ কহিল, গলাবন্ধ কেন? কুকুর বলল, ঐ গলাবন্ধে শিকল দিয়ে দিনের বেলায়, আমাকে বেঁধে রাখে।

বাঘ শুনে, চমকে উঠল এবং বলল, শিকলে বেঁধে রাখে! তবে তুমি, যখন যেখানে যেতে পার না। কুকুর বলল, তা কেন, দিনের বেলা বাঁধা থাকে বটে; কিন্তু রাতে যখন ছেড়ে দেয়, তখন আমি যেখানে খুশি, সেখানে যেতে পারি। তাছাড়া, মালিকের চাকররা কত আদর ও কত যত্ন করে, ভাল খাবার দেয়, স্নান করিয়ে দেয়। মালিকও কখনও কখনও আদর করে, আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়। দেখ দেখি, কেমন সুখে থাকি। বাঘ বলল, ভাই রে! তোমার সুখ তোমারই, তোমরই থাক, আমার এমন সুখের দরকার নেই। পরাধীন থেকে, সুখভোগের চেয়ে স্বাধীন ভাবে কষ্ট করে বেঁচে থাকা অনেক ভাল। আমি তোমার সঙ্গে যাব না। এই বলে বাঘ বনের মধ্যে চলে গেল।

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment