... ঘটনাটি ঘটেছিল হাজারিবাগের একটা গ্রামে। তখন তাতাইয়ের বয়স পাঁচ-ছয়ের বেশি হবে না। আমরা সেবার পুজোর ছুটিতে হাজারিবাগের ওই গ্রামে মাসখানেক ছিলাম। এরই মধ্যে একদিন তাতাইকে একটি বোলতা কামড়ায়। কপালের পাশে কামড়েছিল, কিছুক্ষণ পরে চোখমুখ ফুলে উঠল। মিনতি প্রচন্ড চেঁচামেচি শুরু করে দিল, ... সঙ্গে তাতাইয়ের আকুল ক্রন্দন।
রাস্তার মোড়েই বসেন এক দেহাতি ডাক্তার। দুঃখের বিষয় ভদ্রলোক ভাল বাংলা বোঝেন না। তাঁর কাছে তাতাইকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী গেলাম বটে কিন্তু আমার সামান্য হিন্দিজ্ঞানে তাঁকে বোঝাতে পারলাম না কী হয়েছে। বোলতার হিন্দী কী ভাবতে দিশেহারা হয়ে গেলাম। মধুমক্ষি, মৌমাচ্ছি, মৌমক্ষি কত কী বললাম কিন্তু ডাক্তারবাবু আর বোঝেন না।
পাশেই এক হিন্দুস্থানি ভদ্রলোক বসেছিলেন। দু’দিন আগে রাস্তায় পরিচয় ... , কিছুটা বাংলা জ্ঞান হয়েছে। অগত্যা তাঁকে প্রশ্ন করলেম, ‘ভাইয়া, হামলোক তো বোলতাকে বোলতা বোলতা হ্যায়, আপ লোক বোলতাকো ক্যায়া বোলতা হ্যায়।’
অনুগ্রহ করে কোনোও পাঠক-পাঠিকা আমার এ প্রশ্নের কী উত্তর পেয়েছিলাম এবং অতঃপর কী হয়েছিল অনুমান করে নেবেন।”
[রম্যরচনা ৩৬৫ – তারাপদ রায়]
লেখাটি পাঠিয়েছেন: সুমন দাস
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।
0 comments:
Post a Comment