এইদিকে দুই চোর তো খুশিতে আত্মহারা হইয়া হাসিতে হাসিতে মাটিতে লুটিয়া পড়িল এবং একে অপরকে বলিল- আজ গেরস্থ জানিতেও পারিবেনা আমরা তাহার সমস্ত ধন লুট করিয়া লইব। চোরের এই কথা শুনিয়া গেরস্থ মৃদু হাসিল। তারপর গেরস্থ ও গিন্নি মিলিয়া একটি বাক্স কুয়োর মধ্যে স্বশব্দে ফেলিয়া দিয়া ঝোপের আড়াল হইতে লুকিয়া লুকিয়া দেখিতে লাগিল চোর ব্যাটারা কি করে। চোরেরা কালক্ষেপন না করিয়া সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর কাছে গিয়া দেখিল, কুয়োতে অনেক জল। তাই দুই চোর যুক্তি করিল কুয়োর সমস্ত জল সেচিয়া ফেলিয়া দিবে। যা ভাবা তাই কাজ। দুই চোর দুটি বালতি লইয়া কুয়োর জল সেঁচা শুরু করিল।
এদিকে গেরস্থের কুয়োর পাশেই একটি ধানের ক্ষেত ছিল। গেরস্থ লুকিয়া গিয়া ক্ষেতের আশে পাশে কোদাল দিয়ো অনেক নালা তৈরী করিল যাতে কুয়োর সমস্ত জন ঐ নালা দিয়া আসিয়া জমি ভরিয়া যায়।
এইভাবে দুই চোর কুয়োর জল তুলিতে তুলিতে অনেকটা সময় পার করিয়া দিল। ভোর হতে আর বেশি দেরিও নেই। গেরস্থ নালা কাটিয়া দিয়া আসিয়া গিণ্ণিকে কহিল- শোন গিণ্নি, তুমি রাজবাড়িতে গিয়া সেপাহিদের খবর দাও যে আমাদের বাড়িতে চোর পড়িয়াছে আর আমি এদিকে চোরদের উপর নজর রাখি।
কুয়োর জল তুলিতে তুলিতে যখন কুয়োর সমস্ত জল শুকিয়া গেল। তখন চোর দুটি দেখিতে পাইল একটি বাক্স। তারা দুজনে বাক্স তুলিতে গিয়া দেখিল অনেক ভারি। তারা একে অপরের দিকে তাকাইয়া কহিল- মনে হয় অনেক সোনা দানা আছে নয়তো এতো ভারি হইবে কেন! আমরা একদিনে অনেক বড়লোক হইয়া যাইব। অধিক কষ্টে দুই চোর বাক্সটি কুয়ো থেকে তুলিয়া আনিল। এরপর বাক্সটি খুলিয়া দেখিল তাহার মধ্যে শুধু পাথর আর পাথর। সোনা-দানার লেশমাত্র নাই। এই সময় গেরস্থ ঝোপের আড়াল হইতে বাহির হইয়া আসিল। চোর তাহাকে দেখিয়া পালাইতে যাইবে অমনি পেছন হইতে রাজার সেপাহিরা চোর দুটোকে ধরিয়া ফেলিল। চোর দুটি চলিয়া যাইবার সময় গেরস্থকে হাজারও গালমন্দ করিতে লাগিল।
এদিকে গেরস্থ গিণ্নিকে বলিল- জানো গিণ্ণি, চোরের অত্যাচারে জমির যে কাজ দিনের বেলায় করিতে পারি নাই সেই কাজ আজ চোরকে দিয়াই করিয়া লইয়াছি।
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।






0 comments:
Post a Comment