স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

রহিমুদ্দীর ভাইর বেটা

চাচা আর ভাস্তে সন্ধ্যাবেলায় দুইজনে আলাপসালাপ করিতেছে।
ভাস্তে: চাচা! আজ বাজারে গিয়াছিলাম।
চাচা: যাবি না! তো বাড়িতে বসিয়া থাকবি নাকি?
ভাস্তে: একটা কুমড়া লইয়া গিয়াছিলাম৷
চাচা: নিবি না? খালি হাতে বাজারে যাবি নাকি?
ভাস্তে: একটা লোক আসিয়া কুমড়াটার দাম জিজ্ঞাসা করিল৷
চাচা: দাম জিজ্ঞাসা করিবে না? তো কি বিনা পয়সায় কুমড়াটা লইবে?
ভাস্তে: আমি আট আনা চাহিলাম৷
চাচা: আট আনা চাবি না? তো কি মাগনা দিবি অত বড় কুমড়াটা?
ভাস্তে: সে লোকটা দুই আনা বলিল৷
চাচা: বলিবে না? অতটুকু কুমড়া তুমি আটআনা চাহিলেই সে নিবে কেন?
ভাস্তে: আমি বললাম বাপের পুষ্যি কুমড়া খাইছ কোনো দিন?

চাচা: বেশ বলিয়াছিস৷ এত বড় কুমড়াটা বেটা দুই আনা মাত্র দর করিল!
ভাস্তে: এমন সময় এক পুলিশ আসিল৷
চাচা: আসিবে না? তুমি ভদ্রলোকের ছেলেকে বলিয়াছ, বাপের পুষ্যি কোনো দিন কুমড়া খাইয়াছ? দেখ না কী হয়!
ভাস্তে: পুলিশ আসিয়া কুমড়াটার দাম জিজ্ঞাসা করিল৷
চাচা: দাম জিজ্ঞাসা করিবে না? পুলিশ বলিয়া কুমড়াটা মাগনা লইবে না কি?
ভাস্তে: আমি কুমড়ার দাম আট আনা চাহিলাম৷
চাচা: বেশ! বেশ! আমার ভাস্তে! দাম চাহিবি না! পুলিশ দেখিয়া ডরাইবি না কি?
ভাস্তে: পুলিশ দুই আনা দাম করিল৷
চাচা: করিবে না? পুলিশ দেখিয়া তাহারা জিনিসের দামদস্তর জানে না? এতটুকু কুমড়া তার দাম দুই আনার বেশি আর কত হইবে?
ভাস্তে: আমি বললাম বাপের পুষ্যি কুমড়া খাইয়াছ কোনো দিন?
চাচা: বেশ বলিয়াছিস! পুলিশ বলিয়া ডরাইবি কেন? বেটা আট আনার কুমড়াটা দুই আনায় লইতে চায়?
ভাস্তে: তখন পুলিশ আমাকে ধরিয়া খুব মার দিল৷
চাচা: দেবে না? যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা? পুলিশের সঙ্গে বাহাদুরি!
ভাস্তে: মারিত মারিতে আমাকে থানায় লইয়া গেল৷
চাচা: থানায় লইয়া যাইবে না? পুলিশকে তুমি অপমান করিয়াছ৷
ভাস্তে: সেখানে গেলে বড় দারোগা আসিল৷
চাচা: আসিবে না? দেখ তোমার ওপর আরও কী দুর্গতি হয়৷
ভাস্তে: বড় দারোগা আসিয়া আমাকে ছাড়িয়া দিল৷
চাচা: দেবে না? তুমি যে রহিমুদ্দীর ভাইর বেটা৷

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment