দিনের বেলায় শিশির দেখা যায় না অথচ রাতের বেলা শিশির পরে যা সকালে ঘাসের উপর বা পাতার উপর আমরা দেখতে পাই। এমনটা কেন হয় তোমরা জানো?
বাতাসের জলীয় বাষ্প ধরে রাখার একটা ক্ষমতার সীমা আছে। সেই সীমা আবার বাতাসের তাপের উপর নির্ভর করে। বাতাস যদি বেশি গরম হয় তাহলে বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারন ক্ষমতা বাড়ে আর যদি বাতাস ঠান্ডা হয় তবে কম জলীয় বাষ্প ধারন করতে পারে। একটা সময় বাতাস আর জলীয় বাষ্প ধারন করতে পারে না। তখন তা শিশির হয়ে ঝরতে থাকে।
রাতে যখন সূর্যের তাপ থাকে না তখন পৃথিবী বাতাস থেকে তাপ শোষণ করে। এর ফলে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যেতে থাকে। ফলে বাতাসের জলীয়বাষ্প ধারন ক্ষমতা কমে যায়। রাত যত বাড়তে থাকে বাতাসের ততই জলীয়বাষ্প ধারন ক্ষমতা কমতে থাকে। এইভাবে তাপমাত্রা কমতে কমতে এক সময় বাতাস আর জলীয়বাষ্প ধরে রাখতে পারে না। তখন জলীয় বাষ্প ফোটা ফোটা শিশির বিন্দু রূপে ঘাসের উপরে কিংবা পাতার উপরে ঝরতে থাকে। তোমরা ঘাসের উপর শিশির বিন্দু দেখ; তার কারন হলো, ঘাসের পাতার উপর সূক্ষ্ম রোম থাকে যা শিশিরবিন্দুকে ছড়িয়ে যেতে বাধা দেয় এবং শিশির বিন্দুকে গোলাকার দেখায়।
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।






SAYAN RAJAK
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ
ReplyDelete