স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

আমাদেরটাই ত পথ দেখাইল

রহিম শেখ বড়ই অসাবধান। আজ এটা ভাঙে, কাল ওটা হারায়। এজন্য বউ তাকে কতই বকে। ‍কিন্তু বকিয়াও বই তাকে সাবধান করিতে পারে না।

যেদিন হাটে যাইবার সময় বউ বার বার করিয়া বলিয়া দিয়াছে, “দেখ আজ হাটে যাইয়া আমার তেলের শিশিটা যে হারাইয়া আসিও না। এই শিশিটা আমার বাপের বাড়ি হইতে আনিয়াছি, কেমন দেখিতে!”

রহিম তেলের শিশি লইয়া হাটে চলির। এক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে পথ পিছল হইয়া আছে। সেখানে আসিয়া তো পা টিপিয়া টিপিয়া চলিতে হয়। কিন্তু অসাবধান রহিম যেমন চলিতেছিল সেখানে আসিয়াও তেমনি চলিতে লাগিল। আর তখনি পা পিছলাইয়া আছাড় খাইল। হাতের শিশিটা মাটিতে পড়িয়া ভাঙ্গিয়া গেল।

রহিম তখন ভাবিতে লাগিল, “বাড়ি গেলে বউ যখন জানিতে পারিবে শিশিটা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তখন সে কি জবাব দিবে? যদি বলে কাটার পথে চলিতে চলিতে পা পিছলাইয়া সে আছাড় খাইয়াছিল, সেই সময় শিশিটা পড়িয়া ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তখন বই জিজ্ঞাসা করিবে, কাদার পথে চলিতে কেন সাবধান হও নাই? এ কথার কি উত্তর দিবে?” মনে মনে সে একটি ফন্দি আঁটিয়া বাড়ি আসিল।

বই তাড়াতাড়ি হঁকাটি আনিয়া তাহার হাতে ‍দিল। হুঁকা টানিতে টানিতে রহিম আরম্ভ করিল, “আজিকার হাটে যে গিয়াছে তাহারই তেলের শিশি হারাইয়াছে। কতজন তেলের শিশি হারাইয়া পথে পথে তালাস করিয়া ফেরিতেছে।”
বউ জিজ্ঞাসা করিল,“বলি, আমাদের তেলের শিশিটা তো হারায় নাই।”

রহিম একটু কাশিয়া উত্তর করিল, “আমাদেরটাই তো পথ দেখাইছে। আমাদের শিশিটা প্রথম হারাইল। তারপর সকলেল তেলের শিশিই হারেইতে আরম্ভ করিল।”

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment