একদিন।
সম্রাট হারুন-অর-রশিদ বসে আছেন সভাকক্ষে। মন্ত্রীদের সঙ্গে গভীর এক বিষয় নিয়ে শলাপরামর্শ করছেন। কী করে প্রজাদের উপকার করা যায়- এই ছিল তাঁর সারাক্ষণ কর্ম ও ধ্যান।
এমন সময় একটি লোক প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করল। প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোজা প্রবেশ করল সভাকক্ষে। সম্রাটের সামনে দাঁড়িয়ে উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপতে লাগল লোকটি। সম্রাট বললেন- কী হয়েছে তোমার?
-- বাদশাহ নামদার, একজন আপনাকে ও আপনার মাকে নিয়ে যা-তা গালাগালি করছে রাস্তায়। এ আমি সহ্য করতে পারলাম না। তাই ছুটে এলাম। এই লোকের এখনই বিচার হওয়া উচৎ।
সম্রাট মন দিয়ে সবটুকু শুনলেন। মন্ত্রীদের দিকে তাকিয়ে বললেন- লোকটিকে কী করা উচিৎ বলে আপনারা মনে করেন?
মন্ত্রীরা সকলেই ভয়ানক উত্তেজিত। এতবড় দুঃসাহস লোকটির! ওকে ধরে এনে এক্ষুনি ফাঁসিতে চড়াও। একজন সম্রাটকে বললেন- লোকটিকে ধরে এনে সমুচিত সাজা দেয়া উচিৎ। ওকে শূলে চড়ানো প্রয়োজন।
আরেকজন বললেন-- ওকে হত্যা করে ওর মাংস কুকুর-বেড়ালকে দিয়ে খাওয়ানো দরকার।
--ওর জিভ কেটে, চুল ছেঁটে ওকে শহর থেকে বের করে দেয়া উচৎ। কেউ-বা বেয়াদবটাকে মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে হত্যা করতে হবে।
সম্রাট হারুন-অর-রশিদ সকলের বক্তব্যই শুনলেন। তারপর নীরবে একটু হাসলেন।
মৃদু হাসি দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন-- না হে, লোকটিকে ক্ষমা করে দেওয়াই উচিৎ আমাদের। নইলে প্রমাণ হয়না আমরা ঐ লোকটির চেয়ে বড়। লোকটি আমাকে গালাগালি দিয়েছে। ও নীচুমনের পরিচয় দিয়েছে। আমি যদি ওকে গালি দিতে চাই তবে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়? আমি তো তবে ওর মতো হয়ে যাই। ওকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমাই মহত্ত্বের লক্ষণ।
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।






0 comments:
Post a Comment