অবশেষে একদিন ঘোড়ার মালিক ঘোড়াকে নিয়ে গেল পশুচিকিৎসকের কাছে। পশুচিকিৎসক জানতে চাইলেন, ‘এর হয়েছেটা কি?’ ঘোড়ার মালিক বলল, ‘তা আমি বলতে পারছি না। একটু বয়েস হয়েছে বটে, কিন্তু তা ছাড়া আর-কিছু অসুখ তো দেখতে পাচ্ছি না।
পশুচিকিৎসক বললেন, ‘ঠিক আছে, কোনও চিন্তা করবেন না, আমি দেখছি। আমি একটা স্পেশাল টনিক বানিয়েছি, সেটা এক চামচে খাওয়ালেই ভাল হয়ে যাবে।’
যে কথা সেই কাজ। দশ সেকেন্ডের মধ্যে এক চামচ স্পেশাল টনিক মুখে পড়ামাত্র ঘোড়াটা চিঁহিহি হ্রেষাধ্বনি করে বিদ্যুৎবেগে ছুট লাগাল। সে তার যৌবনেও কোনওদিন এত জোরে ছোটেনি।
ঘোড়ার মালিক সেই দৃশ্য দেখে চমৎকৃত হয়ে পশুচিকিৎসককে বলল, ‘আপনার ওষুধের দাম কত?’
পশুচিকিৎসক বললেন, ‘এক চামচে টনিক দশ টাকা লাগবে।’
ঘোড়ার মালিক পকেট থেকে তিরিশ টাকা বার করে পশুচিকিৎসককে দিয়ে বলল, ‘আর দু’চামচ আপনার ওই স্পেশাল টনিক আমাকে দিন, আমাকে যে এখন ছুটে গিয়ে ঘোড়াটা ধরতে হবে। এর মধ্যে সেটা কতদুর চলে গেল কে জানে। ওর ডবল জোরে দৌড়তে হবে।’
[রম্যরচনা ৩৬৫ – তারাপদ রায়]
লেখাটি পাঠিয়েছেন: সুমন দাস
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।
0 comments:
Post a Comment