“কম্প দিয়ে জ্বর আসে
কম্প দেয় নাড়ি।
ধড়ফড় করে রোগী
যায় যমবাড়ী।।”
নাড়ি পরীক্ষা করার পর বেচু ডমরুকে বিষবড়ি দিল। সামান্য বিষবড়ি নয়, একেবারে নতুন ওষুধ, সম্প্রতি সে নিজে মনগড়া করে প্রস্তুত করেছে।
ওষুধের কার্যকরিতা নিয়ে ডমরুর স্ত্রীর মনে যাতে কোনও সন্দেহ না থেকে সেই জন্য বেচু নিজেও দুটো বড়ি খেয়ে নিল।
বড়ি খাওয়ার তিন ঘন্টা পরে ওষুধের গুণ প্রকাশিত হল। ডমরুর চোখ লাল হয়ে উঠল, বুক ধড়ফড় করতে লাগল। প্রাণ যায় আর কি!
ডমরুর অবস্থা দেখে তাঁর বন্ধু আধকড়ি বেচুর খোঁজ করতে গেলেন। বেচু ঘরে ছিল না। অনেক খুঁজে দেখা গেল যে সে এক পানাপুকুরের জলে গা ডুবিয়ে বসে আছে। তারও চোখ দুটি জবাফুলের মতো লাল। পানাপুকুরের পচা পাঁক তুলে সে মাথায় দিচ্ছে।
আধকড়ি বেচুকে বললেন, ‘বেচু, তুমি ডমরুকে কী ওষুধ দিয়েছ? তোমার ওষুধ খেয়ে ডমরু মারা পড়তে বসেছে।’ মাথায় কাদা দিতে দিতে বাজখাঁই স্বরে বেচু বলল, ‘বড়ি খেয়ে আমিই বা কোন ভাল আছি।’
লেখাটি পাঠিয়েছেন: সুমন দাস
ABOUTME
শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।
0 comments:
Post a Comment