স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

পিঠে খেলে পেটে সয়

গোপালের পিঠে পায়েস হলে জিভে জল আসে। আজ পৌষ মাসের সংক্রান্তি। বাড়িতে পিঠে পায়েস তৈরি হচ্ছে গোপাল দেখে গেছে। গোপাল সিদিন রাজবাড়ি দিয়ে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে খানিকক্ষণ পরে বললে, হুজুর আমার পেটের ব্যাথাটা বড্ড বেড়েছে আজ- আমায় একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি না ফিরলে যে চলবে না। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বললেন, তোমায় নিয়ে একটু বেড়াতে যাব ভেবেছিলুম; তা তুমি যখন বলছ তোমার পেট ব্যথা তখন বাড়ি চলে যাও। আমি অন্য কাউকে নিয়ে যাচ্ছি।

গোপালের এক হিংসুক প্রতিবেশি গোপালকে দুচক্ষে দেখতে পারত না। সে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে বললে, হুজুর গোপালের মোটেই পেটব্যাথা হয়নি; ওর বাড়িতে আজ পিঠে পায়েস তৈরি হয়েছে আমি দেখে এসেছি, তাই গোপাল আপনাকে পেটব্যথার ধাপ্পা দিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে গেছে। পায়েসের লোভে ঘর পালানো হাতে নাতে ধরার জন্য মাহরাজ কিছু পরেই চাদরে মুখ ঢেকে গোপালের বাড়িতে হাজির হলেন। মহারাজ মাঝে মাঝে গোপালের বাড়ী যেতেন। গোপাল বারান্দায় বসে তখন মনের আনন্দে পিঠে খাচ্ছিল। সামনে এক বিরাট থালায় নানা রকমের পিঠে পায়েস, গোপাল কোন দিকে নজর না দিয়েই গপাগপ খেয়েই যাচ্ছিল মনের আনন্দে।

ছদ্মবেশ খুলে গোপালকে চমকে দেওয়ার পর মহারাজ বললেন, গোপাল এ কি দাওয়াই চলছে? তুমি না পেট ব্যথার নাম করে ছুটি নিয়ে বাড়ি এলে এখন তো দেখছি দিব্যি পিঠে খাচ্ছ। এই কি তোমার পেটে ব্যথা? তুমি এমন মিথ্যে কথা বললে।

গোপাল পিঠে খেতে খেতে সেয়ানার মত হাসতে হাসতে বললে, হুজুর আমার পেট ব্যথাই হোক আর আমাশাই হোক- পিঠে খেলে পেটে সয়। মাঝে মাঝে আমার পেট ব্যথা হয় হুজুর। এ হল পিঠে খাওয়া পেট ব্যথা। পিঠে যদি আজ এসে না খেতাম তবে আজকেই অক্কা পেতাম। তা হুজুরকে এই সামান্য আয়োজনে তো আমন্ত্রন জানাতে পারি না। নিজ গুনে এসেছেন কৃপা করে আপনিও পিঠে পূজো গ্রহণ করুন, ধন্য হই আমি আমার বংশজেরা।

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment