স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা থেকে কমিয়ে চার পয়সা করে দিলে- যাতে গরিব লোকদের উপকার হয়। সে বছর দেশের অবস্থাও খুব ভাল ছিল না বলে গোপাল এই ব্যবস্থা নিলে। যাতে গরিব লোকেরা খুশি হয় পরপারে যাতে সুবিধা হয়। তখন একদল ছেলে ইজারাদার গোপালের সঙ্গে দেখা করে বললে, ভাড়া কমানো চলনো না মোটেই। এতে আমাদের খুব আপত্তি আছে। ভাড়া যেমন ছিল ঠিক তেমনিই থাকবে, একেবারেই কমানো চলবে না। এসব করলে একেবারে ভালো হবে না।

গোপাল তো তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে বলে, ভাড়া বাড়ালেই জনসাধারন সচরাচর আপত্তি করে থাকে, কিন্তু ভাড়া কমালে তো কেউ আপত্তি করে না- প্রথম শুনলাম আপনাদের কাছ থেকে। গোপাল তখন তাদের জিজ্ঞেস করলে, ভাড়া কমানোতে আপনাদের এত আপত্তি কেন? লোকসান তো হবে আমার। আপনাদের আপত্তির কারন আমার মাথায় একেবারে ঢুকছে না।

তখন সেই অদ্ভূত ছেলেগুলো মুখ ব্যাজার করে বললে, তবে শুনুন মশায়, আমরা রোজ সাঁতেরে ওপারে যাই আর রোজই ভাবি ফেরী নৌকায় না গিয়ে সাঁতরে ওপারে যাওয়ার জন্য পারের খরচ বাবদ ছয় পয়সা আমাদের সঞ্চয় হচ্ছে। এখন আপনি ছয় পয়সার জায়গায় ভাড়া চার পয়সা করায় আমাদের যে প্রতিবারে সাঁতরে যাওয়ার জন্যে মাত্র চার পয়সা করে মনের খাতায় জমবে। তা হলে বুঝুন তো, দুপয়সা করে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এই লোকসান কেমন করে মিটবে বলুন।

গোপাল ছেলেদের কথায় না হেসে পারল না।

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment