স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

বুনো ওল, বাঘা তেতুল

গোপালের শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি কাঙালপাড়া নামে একটি গ্রাম ছিল। তখনকার দিনে কাঙালপাড়ায় লোকদের ভিষণ বদনাম ছিল। তারা অজানা অচেনা লোককে নানাভাবে অযথা ঠাট্টা তামাসা করে নাজেহাল করত। বলতে গেলে, তখনকার দিনে কাঙালপাড়ার লোকদের পাজি বদনাম ছিল। বাইরের লোককে বাগে পেলেই নাস্তানাবুদ করে ছাড়ত। সেজন্য বাইরের লোক যে না জানত, সে ছাড়া আর কেউই ও পথ মাড়াত না জীবনে কখনও।

গোপাল একদিন বিশেষ কার্যোপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিল ওই গ্রাম দিয়ে দিব্যি সেজেগুজে। পরণে পাটভাড়া শান্তিপুরী জমিদার কোঁচানো ধুতি, গায়ে ধবধবে ফর্সা কামিজ, কাঁধে গরদের চাদর। গোপালের সুন্দর সাজ পোষাক করার কারণ শালীর বিয়ে। গোপাল এখানকার কান্ডকারখানা যদি বা জানত কিন্তু অসাবধানাত বশতঃ সে বেখেয়ালে চলে এসেছে। কাঙালপাড়ার একটি পাজি লোক তাকে নাজেহাল করার জন্য তৎপর হলো, গোপালের বিশেষ ধরণের সাজ-পোষাক দেখে সে আরও খুশী হল। সেই পাজী লোকটা পাশের ডোবা থেকে বেশ কিছু কাদা সারা গায়ে মেখে গোপালকে আচমকা জড়িয়ে ধরে মড়া কান্না জুড়ে দিল। ওরে বাইরে এতদিন তুই কোথায় ছিলি রে। সেই এলি সেই এলি রে, আর কটা দিন আগে এলিনা কেন রে। মামু যে তোর কথা ভাবতে ভাবতেই পটল তুলল রে। এখন কি হবে রে। আমি যে আর তোর দুঃখে থাকতে পারছি না রে। গোপাল বুঝতে পারলে সে পাজি লোকের পাল্লায় পড়েছে।

গোপালের তখন পায়খানা পেয়েছিল, সে তখন বা হাতের চেটোয় পায়খানা করে, সেই লোকটার চেখে মুখে ছিটিয়ে দিয়ে বললে, ওরে আমার প্রাণের দাদা রে দুঃখ করিসনে রে- মামু কি কারও চিরকাল বেঁচে থাকে রে। আমার দুঃখে তোকে আর দুঃখ করতে হবে না রে আমাকে দেখ, আমি সব বুঝে কেমন শান্ত হয়েছি।

সেই পাজি লোকটা বেশ জব্দ হলো। তার চোখে মুখে গোপালের পায়খানা লাগায় সে থুথু করতে করতে আর বমি করতে করতে পুকুরের দিকে ছুটে গেল। পায়খানার গন্ধে সে আর থাকতে পারল না। সকলে বলল, কি হল, কি হল ব্যাপার খানা?

সেই থেকে পাজি লোকগুলো গোপালকে ঘাটাতে আর সাহস পেত না কোনদিন। আর গোপালও বুক চিতিয়ে গা দুলিয়ে দিব্যি সেই পথ দিয়ে যাওয়া আসা করত মনের আনন্দে।

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment