স্বাগতম

শিশু-কিশোরদের জগতে

ক্লাসের পড়া

বয়স ভিত্তিক পড়া

বিজ্ঞান পড়া

যেমন খুশি তেমন পড়া

ইংরেজি শেখা

উঠোন ভর্তি তেল

হোজ্জা যখন ছোট ছিল তখন সে গ্রামের জমিদারের বাড়িতে ঝাঁট দেওয়ার কাজ করত। জমিদার নিয়ম করেছিলেন যে, বছরের শেষে হোজ্জাকে তার সারা বছরের মজুরি এক সঙ্গে দেওয়া হবে। একবার, বছরের শেষ দিন এলে খুব সকালে জমিদার হোজ্জাকে ডেকে বললেন, ‘নাসীরুদ্দীন; আজ উঠোন পরিষ্কার করার সময় তুমি এক বিন্দুও পানি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে ঝাঁট দেবার পর উঠোন যেন ভিজা ভিজা থাকে নইলে সারা বছরের মজুরি কেটে নেয়া হবে, আর সমানের বছর থেকে এখানে তোমায় কাজ করতে হবে না।’ কথা শেষ করেই জমিদার নববর্ষের জন্যে জিনিস কিনতে বাজারে চলে গেলেন।

মোল্লা কোন কথা না বলে সমস্ত উঠোন ঝাঁট দিল। তারপর, জমিদারের গুদাম থেকে তেলের জালা এনে সব তেল উঠোনে ঢেলে ভিজা ভিজা করে নিয়ে জমিদারের বাড়ির সিঁড়িতে বসে মজুরি নেবার জন্যে অপেক্ষা করতে থাকল।


বিকেলে জমিদার বাড়িতে ফিরে এসে দেখলেন যে, মোল্লা সারা উঠোনে তেল ঢেলে রেখেছে। তা’দেখে জমিদার তো রেগে আগুন। তিনি চিৎকার করে বলতে লাগলেন,‘ আমার তেল এনে দাও! আমার তেল এনে দাও!’

মোল্লা লাফ দিয়ে ‍উঠে বলল, ‘হুজুর, রাগ করছেন না? দেখুন, আমি উঠোনে এক বিন্দুও পানি দিই নি, তবুও সব জায়গা কি ভিজা ভিজা দেখাচ্ছে, না? আমি তো আপনার কথামোতই কাজ করেছি। এক্ষুণি আমার মজুরি দিন। সামনের বছরে আপনি আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চাইলেও আমি আর আপনার কাজ করব না।’

জমিদারের মুখে আর কোন কথা ফুটল না। হোজ্জাকে মজুরি দেয়া ছাড়া তাঁর আর গতন্তর রইল না।

Share this:

ABOUTME

শিশু কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে এটাই আমার কর্তব্য। আর এই কর্তব্যজ্ঞান থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলা ভাষা শিশুদের অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ইন্টারনেট ছাড়া কোন পথ নেই। আমি চেষ্টা করেছি শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য একটি উন্নত অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভান্ডরের অবকাঠামো তৈরী করার। যদি আমার এই প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশের একটি শিশুও উপকৃত হয় তবে আমার কর্ম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment